বর্তমানে ভারতের সিকিমজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নায়রোবি মাছির আতঙ্ক। দেশটির শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, সিকিম মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ক্যাম্পাসের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থীর ত্বকে এই মাছির কারণে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
পতঙ্গবিদদরা বলছে, এই মুহূর্তে সিকিমের আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা এই পতঙ্গের বেড়ে ওঠার পক্ষে অনুকুল। ওই প্রতিবেদনে কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সংক্রমিত শিক্ষার্থীদের ওষুধ দেয়া হয়েছে, তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে।
তবে একজন ছাত্রীর পরিস্থিতি বেশ খারাপ ছিল, তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। জানা গেছে, দেশটির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের তিন শিক্ষার্থীও এই মাছির হানায় সংক্রমিত হয়েছেন।
নায়রোবি মাছির উৎপত্তি কোথায়?
মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নায়রোবি মাছির। এটিকে কেনিয়ান ফ্লাই বা ড্রাগন পোকাও বলা হয়। খানিকটা গোবরে পোকার মতো দেখতে এই পতঙ্গের দুটি প্রজাতি রয়েছে। একটি প্রজাতির রং হয় কমলা, অন্যটির কালো।
বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে এরা দ্রুত বংশবিস্তার করে। এই নায়রোবি মাছি কামড়ায় না, হুলও ফোটায় না। তবে শরীরের উপর বসলে ত্বকে জ্বালা ধরায়। ত্বকের উপর নায়রোবি পতঙ্গ বসলে ফ্যাকাসে দাগও হয়ে যায়। তবে এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় ত্বক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।